প্রবেশদ্বার:কিউবা
{{{১}}}
কিউবা (স্পেনীয়: Cuba কুবা) ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম ও সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপ। দ্বীপটি আশেপাশের অনেকগুলি ছোট দ্বীপের সাথে মিলে কিউবা প্রজাতন্ত্র (República de Cuba রেপুব্লিকা দ়ে কুভ়া) গঠন করেছে। কিউবা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত। ক্যারিবীয় সাগর ও মেক্সিকো উপসাগরের মধ্য দিয়ে সমস্ত সমুদ্রপথের উপর দেশটি অবস্থিত। কিউবার উত্তরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, পূর্বে টার্ক্স ও কেইকোস দ্বীপ এবং হাইতি, পশ্চিমে মেক্সিকো, আর দক্ষিণে জ্যামাইকা ও কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ। উর্বর ভূমি এবং আখ ও তামাকের ফলনের প্রাচুর্যের ফলে কিউবা ইতিহাসের অধিকাংশ সময় ধরেই ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। কিউবা হাইতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপ এবং জ্যামাইকার খুব কাছে অবস্থিত বলে ঐ সব দেশ থেকে কিউবায় প্রচুর লোক যাওয়া-আসা করেন। এই যাতায়াতের ফলে কিউবাতে বহু ধরনের গোষ্ঠী ও সংস্কৃতির সহাবস্থান ঘটেছে। কৃষিতে সমৃদ্ধ হলেও কিউবা খুব কম কৃষিদ্রব্যই রপ্তানি করে, এর মধ্যে আছে চিনি, তামাক, লেবুজাতীয় ফল এবং বিভিন্ন ধরনের উৎপাদিত দ্রব্য। ১৯০২ সালে কিউবানরা স্বায়ত্তশাসন শুরু করে, যদিও দেশটিতে মার্কিন প্রভাব তখনও প্রবল ছিল। ১৯০৩ সালের এক চুক্তি অনুযায়ী কিউবার গুয়ান্তানামো উপসাগর এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও একটি নৌঘাঁটি চালু রেখেছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের অধিকাংশ সময় জুড়ে কিউবার সরকার ধারাবাহিকভাবে কিছু দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্রপতি ও স্বৈরিশাসকের অধীনে শাসিত হয়। ১৯৩৪ সাল থেকে সামরিক অফিসার ফুলগেনসিও বাতিস্তাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কখনো সামরিক স্বৈরশাসক, কখনো বেসামরিক রাষ্ট্রপতি, কখনও পর্দার আড়ালের সামরিক নেতা হিসেবে দেশটি শাসন করা শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগে বহু কিউবান বাতিস্তার স্বৈরশাসন, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। বাতিস্তার বিরুদ্ধ প্রতিবাদ পরবর্তীতে কিউবান বিপ্লবে রূপ নেয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) {{{১}}}কিউবার বিপ্লব (স্পেনীয়: Revolución cubana) হল একটি সশস্ত্র যুদ্ধ যার পরিণতিতে ১৯৫৯ সালের ১লা জানুয়ারী কিউবার একনায়কতন্ত্রী শাসক ফুলগেনসিও বাতিস্তার পরাজয় ঘটে এবং ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক একদলীয় কমিউনিস্ট শাসন প্রবর্তিত হয়। এই সশস্ত্র বিদ্রোহটি ফিদেল কাস্ত্রোর ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলন এবং তার মিত্ররা পরিচালন করেছিল। বিপ্লব ১৯৫৩ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল। ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনএর পরবর্তীতে সাম্যবাদী ধারায় সংস্কার হয়, এবং ১৯৬৫ সালের অক্টোবর মাসে এটি কমিউনিস্ট পার্টি হয়ে ওঠে। কিউবান বিপ্লবের প্রবল ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। নির্দিষ্টভাবে, এরপর কিউবার নবগঠিত কমিউনিস্ট সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে ভূতপূর্ব সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। বিপ্লবের তাত্ক্ষণিক পরিণতিতে, কাস্ত্রোর সরকার জাতীয়করণ এবং রাজনৈতিক একীকরণের একটি কার্যক্রম শুরু করেছিল যা কিউবার অর্থনীতি ও নাগরিক সমাজকে রূপান্তরিত করেছিল। বিপ্লবটি অ্যাঙ্গোলান সিভিল ওয়ার এবং নিকারাগুয়ান বিপ্লব সহ বিদেশী সামরিক দ্বন্দ্বের সময়ে কিউবান হস্তক্ষেপের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...){{{১}}}The following are images from various Cuba-related articles on Wikipedia.
লুয়া ত্রুটি: No content found on page "Culture of Cuba"। {{{১}}}কোনো সাম্প্রতিক যোগকৃত আইটেম নেই {{{১}}}Entries here consist of Good and Featured articles, which meet a core set of high editorial standards.
এর্নেস্তো চে গেভারা (স্পেনীয়: tʃe geˈβaɾa চে গেবারা) (১৪ জুন, ১৯২৮ – ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭) ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম ছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না (স্পেনীয়: Ernesto Guevara de la Serna)। তবে তিনি সারা বিশ্ব লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। মৃত্যুর পর তার শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়। তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তার মনে গভীর রেখাপাত করে। এই ভ্রমণকালে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তার সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলগেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তার পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উত্খাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...){{{১}}}{{{১}}}"প্রবেশদ্বার:কিউবা/Selected picture/১" নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই। {{{১}}}{{{১}}}{{{১}}}{{{১}}}
{{{১}}}{{{১}}} |