দেবব্রত সিংহ ঠাকুর
দেবব্রত সিংহ ঠাকুর | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম | ১৯৩৮ জয়পুর বাঁকুড়া, ব্রিটিশ ভারত বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ |
মৃত্যু | ২৮ মে ২০২১ বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ | (বয়স ৮২–৮৩)
ধরন | হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত |
পেশা | কণ্ঠশিল্পী, সংগীতজ্ঞ |
কার্যকাল | ১৯৬৮–২০২১ |
দাম্পত্যসঙ্গী | বিলেন সিংহ ঠাকুর |
সন্তান | কুন্তল সিংহ ঠাকুর (পুত্র) |
ড. দেবব্রত সিংহ ঠাকুর (ইংরেজি: Dr. Debabrata Singha Thakur) (১৯৩৮ - ২৮ মে , ২০২১) ছিলেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের বিষ্ণুপুর ঘরানার অন্যতম ধ্রুপদ সঙ্গীত শিল্পী। তার লেখা "রবীন্দ্র সঙ্গীতে বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রভাব" বইটি সঙ্গীতমহলে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল এবং ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক তাঁকে জাতীয় ফেলোশিপ প্রদান করে।[১][২]
জন্ম ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]
দেবব্রত সিংহ ঠাকুরের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার জয়পুরের কুচিয়াকোল রাজবাড়ীতে। তিনি প্রথমে বিষ্ণুপুর ঘরানার পথিকৃৎ 'সঙ্গীত সম্রাট’ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা নেন। পরে সেতার, এস্রাজ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিম নেন গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটভাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ধ্রুপদ সঙ্গীতে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
সঙ্গীত জীবন[সম্পাদনা]
দেবব্রত সিংহ ঠাকুর ধামার-খেয়াল-টপ্পা-ধ্রুপদ প্রভৃতি গানের জন্য খ্যাতিমান ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে, আকাশবাণী ও দূরদর্শনেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। এরসাথে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন বেশ কয়েক বছর। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাঁচ বছর বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরের ডোনি সোলো মিশন কলেজ অব মিউজিকের অধ্যক্ষ পদ অলঙ্কৃত করেন। এরপর বিষ্ণুপুরে নিজের বাড়িতেই তিনি গোপেশ্বর মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরে ধ্রুপদ সঙ্গীত গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করে।[২]
তিনি ধ্রুপদী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের উপর বিশেষ করে বিষ্ণুপুর ঘরানা নিয়ে কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য বই গুলি হল -
- বিষ্ণুপুর ঘরাণার উৎপত্তি ইতিহাস
- ভারতীয় সঙ্গীতের বৈশিষ্ট্য,
- যদুভট্ট,
- রবীন্দ্র সঙ্গীতে বিষ্ণুপুর ঘরাণার প্রভাব
- বিষ্ণুপুর ঘরানা (ইংরাজীতে)
[১] ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক তার "রবীন্দ্র সঙ্গীতে বিষ্ণুপুর ঘরানার প্রভাব" বইটির জন্য জাতীয় ফেলোশিপ প্রদান করে।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
দেবব্রত সিংহ ঠাকুর বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে মে শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুরের রাজদরবার এলাকায় নিজের বাড়িতে তিনি প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "বিষ্ণুপুর ঘরানার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইন্দ্রপতন"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৩।
- ↑ ক খ "দুঃসংবাদ! প্রয়াত বিষ্ণুপুর ঘরানার এই ধ্রুপদ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ..."। ৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৩।