২০০৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে বাংলাদেশ সরকারকেঢাকায় একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়। একই বছরে মার্কিন পরামর্শক ফার্ম লুই বার্জার গ্রুপ ঢাকার জন্য একটি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা তৈরি করে।[১] বিশ্ব ব্যাংক এই পরিকল্পনাটি তৈরি করতে সহায়তা করেছিলো যেখানে ঢাকায় পাঁচটি এমআরটি লাইন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।[২] সেই পাঁচটি মেট্রো রেলপথ হলো এমআরটি লাইন ১, এমআরটি লাইন ২, এমআরটি লাইন ৪, এমআরটি লাইন ৫ ও এমআরটি লাইন ৬।[৩] ২০১৭ সালে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এমআরটি লাইন ৪ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[৪] ১ অক্টোবর ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীনারায়ণগঞ্জকে ঢাকা মেট্রো নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটি লিখিত অনুরোধ জমা দেন।[৫] যদিও এমআরটি লাইন ৪ প্রকল্পের মাধ্যমে কমলাপুরের সাথে শহরকে সংযুক্ত করার একটি বিদ্যমান পরিকল্পনা ছিলো যার অধীনে নারায়ণগঞ্জ–বাহাদুরাবাদ ঘাট রেলপথের সমান্তরালে একটি পাতাল রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।[৬] কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীসেবা বাড়ানোর জন্য চলমান ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প ও ঢাকা–যশোর রেলপথ নির্মাণের কারণে সেখানে এমআরটি লাইন ৪ নির্মিত হলে মেট্রো সেবা লাভজনক করার মতো সেখানে যাত্রী পাওয়া যাবেনা আশঙ্কা করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) যাত্রাপথ সংশোধন করে মদনপুরে এর গন্তব্য পরিবর্তন করে।[৭] ২০২৩ সালে উচ্চ ব্যয়ের কারণে সরকার এমআরটি লাইন ৪ নির্মাণের উদ্দেশ্যে করা জাপানের সাথে চুক্তি থেকে সরে আসে।[৪] সরকার এমআরটি লাইন ৪-এর তহবিলের দাতা খুঁজে বের করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৮] ইআরডি বিশ্বব্যাংক, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে সম্ভাব্য দাতা হিসেবে খুঁজে পায়।[৯]