ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবসমূহের প্রতিযোগিতামূলক সম্মাননা লাভের তালিকা
অত্র নিবন্ধটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবসমূহের প্রতিযোগিতামূলক সম্মাননা লাভের তালিকা সম্পর্কীয়। এ তালিকায় প্রত্যেক ক্লাবের পাঁচটি বৃহৎ ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রফি জয়ের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ সকল সম্মাননায় কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ, রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপ, ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফি, বেনসন এন্ড হেজেস কাপ ও টি২০ ব্লাস্টসহ তাদের বিভিন্ন সাবেক অন্তর্ভূক্তি দেখানো হয়েছে।
১৮৯০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম মৌসুম অনুষ্ঠিত হয়।[১] এরপর থেকে পরবর্তী সত্তর বছর একমাত্র প্রতিযোগিতারূপে বিবেচিত হতে থাকে। শুরুতে এ প্রতিযোগিতায় আটটি কাউন্টি দলের অংশগ্রহণ ছিল। উনবিংশ শতকের শেষদিকে পনেরো কাউন্টিতে এসে দাঁড়ায়। নর্দাম্পটনশায়ার ও গ্ল্যামারগন বিংশ শতাব্দীর সিকি অংশের মধ্যে যোগদান করে। এরপরই ডারহাম এ তালিকায় যুক্ত হয়।
১৯৬২ সালে প্রথম সীমিত ওভারের প্রতিযোগিতা হিসেবে জিলেট কাপের প্রচলন ঘটে।[২] শুরুতে এটি ৬৫ ওভারের ছিল। এরপর ৩৬ বছর এ প্রতিযোগিতার আয়ুষ্কাল ছিল ও বিভিন্ন নামে পরিচিতি পায়। তবে, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি নামটি দীর্ঘদিন টিকেছিল। প্রতিযোগিতার নিয়ম-কানুনও প্রায়শই পরিবর্তিত হতে থাকে। ওভারের ভিন্নতা, মাইনর কাউন্টিজ দলগুলোকে আমন্ত্রণ ও ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বের প্রবর্তন অন্যতম বিষয় ছিল।
১৯৬৯ সালে ৪০ ওভারের প্রতিযোগিতা হিসেবে সানডে লীগের প্রবর্তন ঘটে।[৩] জিলেট কাপের ন্যায় এ প্রতিযোগিতাটিরও খেলার ধরন ও নাম প্রায়শই নিয়মিতভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথম কাউন্টি প্রতিযোগিতা হিসেবে এতে সাদা বল, রঙিন পোশাক ও দলের ডাকনামের প্রচলন ঘটানো হয়। ২০১০ সালে লীগ ও জিলেট কাপের সর্বশেষ নাম ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফিকে একীভূত করে একটি প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসা হয়। উভয়টিই লীগ ও নক-আউট পর্বে বিভক্ত করা হয়েছিল।
১৯৭২ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের প্রচলন শুরু হয়।[৪] প্রবর্তনের পর থেকে পরবর্তী ৩০ বছর একই সম্প্রচারকারী সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হতো। শুরুর দিকে এ প্রতিযোগিতায় বিশ দলকে চারটি আঞ্চলিক গ্রুপে বিভক্ত করে মে মাসের মৌসুমের শুরুতে মূলধারায় নিয়ে আসা হয়। সংখ্যার দিক দিয়েও দলের ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। ১৭ ও পরবর্তীকালে ১৮টি কাউন্টি দলের সাথে ২ থেকে ৩টি অতিরিক্ত দল যুক্ত হতো। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালের নক-আউট পর্বে অবতীর্ণ হয়। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ এবং ১৯৯৯ সালের প্রতিযোগিতা সরাসরি নক-আউটভিত্তিক ছিল। ১৯৯৫ ও ১৯৯৮ সালে এবং প্রতিযোগিতার শেষ তিনবছর গ্রুপভিত্তিক খেলায় ফিরিয়ে আনা হয়। ২০০৩ সালে টুয়েন্টি২০ কাপের প্রবর্তন করা হয়। তিনটি বিভাগের ছয়টি দলকে বিভক্ত করে একে-অপরের সাথে একবার ও ২০০৮ সাল থেকে দুইবার মুখোমুখি করা হয়। শীর্ষ ৮ দল কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। ২০১০ সালে প্রতিযোগিতার নাম পরিবর্তন করে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি২০ ও পরবর্তীতে ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ রাখা হয়। তিন বিভাগের ছয়টি করে দলকে পরিবর্তন করে দুই বিভাগে ৯টি করে আনা হয়। এরপর ২০১২ ও ২০১৩ সালে তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান প্রতিযোগিতা টি২০ ব্লাস্টে আবারও ৯দলের গ্রুপে আনা হয়। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ চার দলকে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ করা হয়।
তালিকা[সম্পাদনা]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ Between 1988 and 1991, the Refuge Assurance Cup, a play-off between the top four teams in the league, was held. The winners were Lancashire (1988), Essex (1989), Middlesex (1990) and Worcestershire (1991).