অঙ্কুরোদগম
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
![](http://chped.net/https/upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/7/75/Sunflower_seedlings.jpg/250px-Sunflower_seedlings.jpg)
বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ যেভাবে জন্ম নেয় তাকে অঙ্কুরোদগম বলা হয়। এর জন্য উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় উপকরণ মাটি, আলো, পানি ও বায়ু প্রয়োজন৷[১] যখন
ভ্রূণকান্ড মাটি ভেদ করে উপরে উঠে কিন্তু বীজপত্রটি ভিতরে থেকে যায় তখন তাকে মৃদগত অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন ছোলা, ধান ইত্যাদি।কখনো বীজপত্রসহ ভ্রূণমুকুল মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে তখন তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। কুমড়া, রেড়ী, তেঁতুল ইত্যাদি বীজে অঙ্কুরোদগম দেখা যায়।
অঙ্কুরোদগমের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী[সম্পাদনা]
যে সব শর্ত বীজের অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করে তাদের দুভাগে ভাগ করা হয়- আভ্যন্তরীণ শর্ত,বাহ্যিক শর্ত।
- আভ্যন্তরীণ শর্ত
আভ্যন্তরীণ শর্তগুলির মধ্যে প্রধান হল খাদ্য। ভ্রূণের জন্য খাদ্য শ্বেতসার রূপে বীজপত্রে কিংবা সস্যে সঞ্চিত থাকে। কিন্তু শ্বেতসার জলে অদ্রবণীয় হওয়ায় ভ্রূণ তা সহজে গ্রহণ করতে পারে না। জলও উষ্ণতার প্রভাবে শ্বেতসার দ্রবণীয় গ্লুকোজে পরিণত হলেই ভ্রুণ তা গ্রহণ করে।
- বাহ্যিক শর্ত
বাহ্যিক শর্তগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল জল, উষ্ণতা ও অক্সিজেন।
জল বা আর্দ্রতা (Water or moisture):
অঙ্কুরোদগমের সময় জল নিম্নলিখিত কারণে প্রয়োজন হয়।
ক) জলের দ্বারা বীজত্বক নরম হয়। তাই ভ্রূণমূল ও ভ্রূণমুকুল সহজে তা ভেদ করে বেরিয়ে আসে।
খ) জল শোষণ করে বীজপত্র ও শস্য স্ফীত হয়, ফলে বীজত্বক ফেটে যায়।
গ) ভ্রূণের কোষের প্রোটোপ্লাজম প্রয়োজনীয় জল পেয়ে সক্রিয় হয়।
ঘ) জলের দ্বারা খাদ্য বীজপত্র বা সস্য থেকে ভ্রূণের বর্ধনশীল অঞ্চলে পৌছায়। তাই জল অঙ্কুরোদগমের জন্যে অবশ্যই প্রয়োজন।
উষ্ণতা (Temperature):
বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্যে উপযুক্ত উষ্ণতা প্রয়োজন। উষ্ণতা ছাড়া বীজের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয় না। সাধারণত ২৫-৩০°C তাপমাত্রায় বেশীর ভাগ বীজে অঙ্কুরোদগম ভালো হয়। তবে বিভিন্ন বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্যে বিভিন্ন উষ্ণতা প্রয়োজন হয়।
অক্সিজেন (Oxygen):
বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় ভ্রুণ দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই ভ্রুণের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। ভ্রুণ শ্বাসক্রিয়া দ্বারা এই শক্তি উৎপন্ন করে। শ্বাসক্রিয়ায় অক্সিজেনের দ্বারা খাদ্য জারিত হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে। তাই অক্সিজেন ছাড়া অঙ্কুরোদগম সম্ভব নয়। (তথ্য সূত্র: জীবন বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি, মার্চ ১৯৮৩, লেখক: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী,প্রকাশক: সর্বভারতীয় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী কংগ্রেস, পৃঃ ১৫)
প্রকারভেদ[সম্পাদনা]
অঙ্কুরোদগম তিন প্রকার।
- মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগম-এই প্রকারের অঙ্কুরোদগমের সময় বীজপত্র বীজত্বকের মধ্যেই থাকে। কখনও মাটির উপরে আসে না।।যেমন - মটর, ছোলা,ধান।
- মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম-যে অঙ্কুরোদগমে বীজপত্র বীজত্বক ভেদ করে মাটির উপরে আসে তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন - শিম,কুমড়া, তেঁতুল,কুল।
- জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম-যে অঙ্কুরোদগমে গাছে ফল থাকা অবস্থায় বীজের অঙ্কুরোদগম শুরু হয়।যেমন - সুন্দরি, গেওয়া, কাঁঠাল।
পরিচিতি[সম্পাদনা]
![](http://chped.net/https/upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b0/Horticulture_Tray3.jpg/150px-Horticulture_Tray3.jpg)
![](http://chped.net/https/upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d4/Raapstelen_gekiemde_zaden_%28Brassica_campestris_germinating_seeds%29.jpg/250px-Raapstelen_gekiemde_zaden_%28Brassica_campestris_germinating_seeds%29.jpg)
অঙ্কুরোদগম সাধারণত একটি বীজের মধ্যে থাকা একটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি৷ এটি চারা তৈরির একটি ফলাফল, এটি বীজের বিপাকীয় সরঞ্জাম পুনরায় সক্রিয়করণের প্রক্রিয়া যার ফলে র্যাডিকাল এবং প্লামুলের উত্থান ঘটে।
ভাস্কুলার উদ্ভিদের বীজ একটি পুরুষ বা মহিলা প্রজনন কোষের মিলনের পরে উৎপাদিত একটি ছোটো চারাগাছ। সমস্ত সম্পূর্ণ বিকাশযুক্ত বীজে একটি ভ্রূণ থাকে এবং বেশিরভাগ উদ্ভিদের প্রজাতিতে বীজ কোটে জড়িত কিছু খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। কিছু গাছ বিভিন্ন রকমের বীজ উৎপাদন করে যার ভ্রূণের অভাব থাকে, এগুলিকে সুপ্ত বীজ বলা হয় যা কখনই অঙ্কুরিত হয় না।
সুপ্ত বীজ হলো পাকা বীজ যা অঙ্কুরিত হয় না৷ কারণ এগুলি বহিরাগত পরিবেশগত অবস্থার অধীনে থাকে যা বিপাকীয় প্রক্রিয়া এবং কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
যথাযথ পরিস্থিতিতে বীজ অঙ্কুরিত হতে শুরু করে এবং ভ্রূণের টিস্যুগুলি পুনরায় বৃদ্ধি শুরু করে ও একটি চারা তৈরির দিকে বিকাশ করে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ biplob। "বীজের অঙ্কুরোদগম – Neehareka"। ২০১৯-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭।