ইয়ান ওয়ার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান জেমস ওয়ার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | প্লাইমাউথ, ডেভন, ইংল্যান্ড | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্টাম্পি, দ্য চিম্প, দ্য জিনম, ককার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬০৫) | ১৭ মে ২০০১ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ আগস্ট ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২ - ২০০৫ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ এপ্রিল ২০২০ |
ইয়ান জেমস ওয়ার্ড (ইংরেজি: Ian Ward; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২) ডেভনের প্লাইমাউথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘স্টাম্পি’ ডাকনামে পরিচিত ইয়ান ওয়ার্ড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমারসেটের মিলফিল্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি।[১] ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইয়ান ওয়ার্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তবে, ক্লাব ক্রিকেটারেরাই কেবল ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ পান - এ ধারনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৯৯৭ সালে সারে দলের পক্ষে দ্বিতীয়বার অন্তর্ভুক্ত হতে হয়েছিল ইয়ান ওয়ার্ডকে। পাঁচ বছর বিরতি নিয়ে ঐ বছর তিনি প্রথম খেলতে নামেন।
১৯৯২ সালে সারে দলের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। এরপর তিনি দলের বাইরে চলে যান। ১৯৯৭ সালে কর্মকর্তা হিসেবে পুনরায় দলে অন্তর্ভুক্ত হন। দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মোট তিনবার সারে দলের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।
২০০০-০১ মৌসুমে ইংল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় সফরে যান। কাউন্টি খেলায় প্রত্যাবর্তন করে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আরও শক্তিশালীকরণে প্রয়াস চালান। প্যাডের সহায়তা আরও রুখে দাঁড়ান ও কভার অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতেন। এ অঞ্চলেই ফিল্ডিং করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান ওয়ার্ড। ১৭ মে, ২০০১ তারিখে লর্ডসে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ আগস্ট, ২০০১ তারিখে নটিংহামে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০১ সালের গ্রীষ্মকালে ইংল্যান্ড টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। এ পর্যায়ে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্ট খেলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে ৩৯ রান তুলে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। তবে, পরবর্তী ইনিংসগুলোয় এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলীয় বোলারেরা তার ব্যাটিং দূর্বলতা দ্রুত চিহ্নিত করে। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাকে বাদ দেয়া হয়।
ব্যাটসম্যানের অনুপযোগী পিচে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪২ ঘণ্টার অধিক সময় ব্যাটিং অবস্থান করে নিজেকে ইংল্যান্ডের মাঝারিসারিতে স্থান করে নেয়ার প্রয়াস চালান। কিন্তু, খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্লেন ম্যাকগ্রা’র নজরে পড়ে বিদেয় নিতে বাধ্য হন।
অবসর[সম্পাদনা]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ২০০৩ সালে সাসেক্স অভিমুখে যাত্রা করেন। সেখানে থাকাকালে ইংল্যান্ড দলে খেলার সম্ভাবনা জাগান। তবে, তাকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনা হয়নি।
২০০৫ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি পূর্ণাঙ্গকালীন ক্রিকেট উপস্থাপক ও ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এর পূর্বেকার দুই শীতকাল স্কাই স্পোর্টসে কাজ করেছিলেন ইয়ান ওয়ার্ড। বর্তমানে স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট উপস্থাপক দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। ২০১৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজ টেলিভিশনে সম্প্রচারকালে ‘অ্যাশেজ জোন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তার অভিজ্ঞতা, ক্রিকেট শট প্রদর্শন, বোলিং কৌশল ও ফিল্ডে অবস্থানের বিষয়টি এখানে তুলে ধরেন। তার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা প্রচারমাধ্যমে উচ্ছসিত প্রশংসা কুড়ায়।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Ian Ward"। espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Sky Sports earn high marks for 'show and tell' at the Ashes"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- ইয়ান পিবলস
- রনি স্ট্যানিফোর্থ
- অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা
- এসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
- ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইয়ান ওয়ার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইয়ান ওয়ার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)